দুই ভাই সালমান এফ রহমান ও সোহেল এফ রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি বা বর্তমানের বেক্সিমকোর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৭২ সালে। কোম্পানিটি প্রথমে সামুদ্রিক খাবার ও হাড় চূর্ণ বিভিন্ন ঔষুধ কোম্পানিগুলোতে রপ্তানি করত। পরবর্তীতে ঔষুধ আমদানি শুরু করে। ধীরে ধীরে বেক্সিমকো টেক্সটাইলস্, পোষাক শিল্প, সিরামিকস্, মিডিয়া, আবাসন, এনার্জি এ্যাভিয়েশন ও আর্থিক খাতে তাদের ব্যবসা সম্প্রাসারন করে। বর্তমানে বেক্সিমকো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি কর্পোরেশনগুলির, অর্থাৎ শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির, একটি। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যাত্রা শুরু করে কোম্পানিটি প্রবৃদ্ধি অর্জনে ঈর্ষনীয় সাফল্য লাভ করেছে।
বেক্সিমকোর প্রতিষ্ঠাতা দুই ভাই ১৯৬৬ সালে তাদের পিতা মারা যাবার পর পারিবারিক ভাবে প্রাপ্ত একটি পাটকল নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর সরকার জুট মিলটি জাতীয়করন করে। যার ফলে দুইভাইয়ের জন্য অন্যকিছু করার সুযোগ তৈরী হয় এবং সেই ধারাবাহিকতায় তারা বেক্সিমকো গঠন করেন। প্রাথমিকভাবে কোম্পানিটি ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস্, বেলজিয়াম ও ব্রিটেনে হাড় চূর্ণ ও সামুদ্রিক খাবার রপ্তানি করত এবং সেইসময় বৈদেশিক বিনিময় কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রতিত হওয়ার ফলে তারা রপ্তানির পরিবর্তে ঔষুধ আমদানি করত।সোহেল এফ রহমান ও সালমান এফ রহমান দূরদর্শী সম্পন্ন হবার কারনে সেই সব ব্যবসাই শুরু করেছিলেন যেখানে সাফল্য নিশ্চিত।
বেক্সিমকো গ্রুপ ১৯৮০-এর দশকে বার্ষিক ৩০ মিলিয়ন ডলার রাজস্ব আয় করে। সেই সময় চাহিদার মাত্র ১০% ঔষুধ দেশে উৎপাদিত হত এবং দেশে এত বৈদেশিক মুদ্রাও ছিল না আন্তজার্তিক বাজার থেকে ঔষুধ ক্রয় করার।সোহেল এফ রহমান ও সালমান এফ রহমান বুঝতে পারলেন যে দেশে ঔষুধ উৎপাদন করতে পারলে সামাজিক ও ব্যাবসিকভাবে লাভজনক হওয়া যাবে।১৯৮০ সালে দুই ভাই বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস গঠন করেন এবং সেটি ১৯৮৫ সালে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়। ২০০৫ সালে প্রথম বাংলাদেশী কোম্পানি হিসেবে লন্ডন ভিত্তিক অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট এক্সচেঞ্জ-এ তালিকাভুক্ত হয়।
বছরের পর বছর সোহেল এফ রহমান এবং সালমান এফ রহমান তাদের ব্যবসাগুলো বিভিন্ন খাতে বিস্তৃত করে গেছেন এবং ধিরে ধিরে কোম্পানিটিকে দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠিগুলোর একটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
বেক্সিমকো গ্রুপের বার্ষিক আয় প্রায় ৮৩৪ মিলিয়ন ডলার এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-এ মুলধণের পরিমান ১.৭ বিলিয়ণ ডলার। প্রতিষ্ঠানটির তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা পাঁচটি এবং অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ২৩টি। কোম্পানিটির কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। বেক্সিমকো গ্রুপের যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক এবং ডালাসে বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। সম্প্রতি বেক্সিমকো গ্রুপ সৌদি আরবের জুবাইলে একটি ইনহেলার প্লান্ট স্থাপন করতে ২৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
একটি গবেষণা প্রতিস্থানের রিপোর্ট অনুযায়ী বেক্সিমকো গ্রুপ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রাইভেট কোম্পানি।
বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার দুই ভাইয়ের একজন - সালমান এফ রহমান ছাত্র অবস্থাতেই রাজনীতিতে জরিয়ে পরেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি আইয়ুব বিরোধী আন্দলনে অংশগ্রহন করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ মুভমেন্ট নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারী খাতের উপদেষ্টা হন। এই পদে থেকেও তিনি দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার সুযোগ পাচ্ছেন।
বেক্সিমকোর প্রতিষ্ঠাতা দুই ভাই ১৯৬৬ সালে তাদের পিতা মারা যাবার পর পারিবারিক ভাবে প্রাপ্ত একটি পাটকল নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর সরকার জুট মিলটি জাতীয়করন করে। যার ফলে দুইভাইয়ের জন্য অন্যকিছু করার সুযোগ তৈরী হয় এবং সেই ধারাবাহিকতায় তারা বেক্সিমকো গঠন করেন। প্রাথমিকভাবে কোম্পানিটি ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস্, বেলজিয়াম ও ব্রিটেনে হাড় চূর্ণ ও সামুদ্রিক খাবার রপ্তানি করত এবং সেইসময় বৈদেশিক বিনিময় কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রতিত হওয়ার ফলে তারা রপ্তানির পরিবর্তে ঔষুধ আমদানি করত।সোহেল এফ রহমান ও সালমান এফ রহমান দূরদর্শী সম্পন্ন হবার কারনে সেই সব ব্যবসাই শুরু করেছিলেন যেখানে সাফল্য নিশ্চিত।
বেক্সিমকো গ্রুপ ১৯৮০-এর দশকে বার্ষিক ৩০ মিলিয়ন ডলার রাজস্ব আয় করে। সেই সময় চাহিদার মাত্র ১০% ঔষুধ দেশে উৎপাদিত হত এবং দেশে এত বৈদেশিক মুদ্রাও ছিল না আন্তজার্তিক বাজার থেকে ঔষুধ ক্রয় করার।সোহেল এফ রহমান ও সালমান এফ রহমান বুঝতে পারলেন যে দেশে ঔষুধ উৎপাদন করতে পারলে সামাজিক ও ব্যাবসিকভাবে লাভজনক হওয়া যাবে।১৯৮০ সালে দুই ভাই বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস গঠন করেন এবং সেটি ১৯৮৫ সালে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়। ২০০৫ সালে প্রথম বাংলাদেশী কোম্পানি হিসেবে লন্ডন ভিত্তিক অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট এক্সচেঞ্জ-এ তালিকাভুক্ত হয়।
বছরের পর বছর সোহেল এফ রহমান এবং সালমান এফ রহমান তাদের ব্যবসাগুলো বিভিন্ন খাতে বিস্তৃত করে গেছেন এবং ধিরে ধিরে কোম্পানিটিকে দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠিগুলোর একটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
বেক্সিমকো গ্রুপের বার্ষিক আয় প্রায় ৮৩৪ মিলিয়ন ডলার এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-এ মুলধণের পরিমান ১.৭ বিলিয়ণ ডলার। প্রতিষ্ঠানটির তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা পাঁচটি এবং অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ২৩টি। কোম্পানিটির কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। বেক্সিমকো গ্রুপের যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক এবং ডালাসে বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। সম্প্রতি বেক্সিমকো গ্রুপ সৌদি আরবের জুবাইলে একটি ইনহেলার প্লান্ট স্থাপন করতে ২৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
একটি গবেষণা প্রতিস্থানের রিপোর্ট অনুযায়ী বেক্সিমকো গ্রুপ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রাইভেট কোম্পানি।
বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার দুই ভাইয়ের একজন - সালমান এফ রহমান ছাত্র অবস্থাতেই রাজনীতিতে জরিয়ে পরেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি আইয়ুব বিরোধী আন্দলনে অংশগ্রহন করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ মুভমেন্ট নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারী খাতের উপদেষ্টা হন। এই পদে থেকেও তিনি দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার সুযোগ পাচ্ছেন।
Comments
Post a Comment